প্রকাশিত: Mon, Apr 3, 2023 1:56 PM
আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 11:17 AM

গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যম!

নিয়ন মতিয়ুল : একটিমাত্র ছবি, ছোট্ট এক শব্দ আর একটি বাক্য সম্পাদকীয় নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে কতোটা বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে? গণমাধ্যমে উপস্থাপনাগত পদ্ধতি বিভ্রান্তি ঘটিয়ে কীভাবে সম্পাদকীয় ‘প্রবণতা’র অনুসন্ধানকে তাড়িত করতে পারে? প্রশ্নগুলো দারুণ কৌতূহল জাগাচ্ছে। গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করা ‘ক্যাপশনবিহীন’ ছবিগুলো যে শুধু একেকটি সাদামাটা ছবি-ই নয়, একেকটি শব্দ বা বাক্য যে শুধু মামুলি কথা-ই নয়, সম্পাদকীয় ‘সেন্সরের মাইক্রোস্কোপে’ যে বিস্ফোরক হয়ে উঠতে পারে, তার ভয়ঙ্কর প্রমাণ মিলছে সম্প্রতি। যা বিশেষত প্রবল দায়িত্বশীল আর জনপ্রিয় গণমাধ্যমের বড় এক অভিজ্ঞতা।

তবে সংবাদকর্মীদের আরও বড় অভিজ্ঞতার শিকার হতে হচ্ছে। সম্প্রতি জনপ্রিয়তায় শীর্ষে থাকা সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকের সাংবাদিকতাকেই ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ করছেন খ্যাতিমান প্রভাবশালী দু’একজন সম্পাদক। কয়েক দশক ধরেই যে সাংবাদিকতার চর্চা ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ রূপও পেয়েছে। তাই, সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন আসতে পারে, প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতার জনপ্রিয়করণ কীভাবে?

জনপ্রিয়তাই যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তাহলে জনরুচির বিষয় এসে যায়। প্রশ্ন জাগতে পারে, ‘জনরুচির দুর্ভিক্ষের’ কারণেই কি জনপ্রিয়তা প্রশ্নবিদ্ধ! তাহলে কি গণমাধ্যমের সঙ্গে জনগণের বড় দূরত্ব, গণমাধ্যম থেকে বিলুপ্ত হচ্ছে ‘গণ’? জনরুচির এই দুর্ভিক্ষের অবসান তাহলে ঘটবে কী করে? অবশ্যই গভীর গবেষণার বিষয়।

তবে যখন কোনো দেশে রাজনৈতিক দল, সরকার, প্রশাসনÑ এক সরলরেখায় একাকার হয়, গণমাধ্যমও দাঁড়িয়ে যায় সে রেখায়, তখনই মনে হয় সম্পাদকীয় সেন্সরের মাইক্রোস্কোপ দারুণ সক্রিয় হয়ে ওঠে। প্রশ্নগুলো স্পর্শকাতর হতে শুরু করে। গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায় সংবাদমাধ্যমও (যেমন, কবির বিরুদ্ধে কবি/মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ/বিকেলের বিরুদ্ধে বিকেল/উদ্যানের বিরুদ্ধে উদ্যান...)। গণমাধ্যম ভাবনা: ৩ এপ্রিল, ২০২৩। ঢাকা। লেখক: সাংবাদিক